ঢাকা, ৩১ কার্তিক (১৬ নভেম্বর): জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে চীন ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের দীর্ঘদিনের ভূরাজনৈতিক বিরোধ নতুন করে সামনে আসায় পরিস্থিতি একপ্রকার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
চীন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাকাইচির বক্তব্য তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এমনকি বেইজিংয়ে অবস্থানরত জাপানি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে চীন কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তাকাইচি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চীন যদি তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালায়, তবে জাপান তার আত্মরক্ষামূলক বাহিনী ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই মন্তব্য প্রকাশের পরই দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি, সতর্কবার্তা ও কঠোর ভাষার বার্তা আদান–প্রদান শুরু হয়। চীনের এক দূত এমন মন্তব্যও করেন, যা অনেকের কাছে হুমকিমূলক বলে মনে হয়েছে।
যদিও তাকাইচি পরে জানান, তার বক্তব্য জাপানের দীর্ঘদিনের নীতিরই প্রতিফলন এবং এতে কোনো অতিরঞ্জন নেই। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে আরো সতর্ক থাকবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স–এ জাপানকে ‘আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করতে’ সতর্ক করে। আর শুক্রবার রাতে জাপানে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে নিজেদের নাগরিকদের নিকট ভবিষ্যতে জাপান সফর এড়িয়ে চলার আহ্বান জানায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা আসলে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের বড় শক্তিগুলোর মধ্যকার কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতারই একটি প্রতিচ্ছবি, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।