গাজাবাসীদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি মানবে না জর্ডান ও পাকিস্তান

লোকালয় ডিজিটাল রিপোর্ট
 ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ১অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর):  গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা চলমান থাকলেও গাজাবাসীদের জোরপূর্বক অন্যত্র বাস্তুচ্যুতি মেনে নেবে না—এমন দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছে জর্ডান এবং পাকিস্তান।

শনিবার ইসলামাবাদে এক বৈঠকে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গাজা ইস্যুতে আরব-ইসলামি আট দেশের সমন্বিত উদ্যোগ, যুদ্ধোত্তর শাসন কাঠামো পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।

জিও নিউজ জানিয়েছে, বৈঠকে দুই নেতা যুদ্ধোত্তর গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিজভূমি থেকে সরিয়ে নেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেন এবং ভবিষ্যতে গাজাকে নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশে ফিরিয়ে আনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এ সময় বাদশাহ আবদুল্লাহ পাকিস্তানের মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি আগ্রাসন থেমে নেই। খান ইউনিসের দক্ষিণাংশ, গাজা সিটির উত্তরাঞ্চল ও রাফাহ সীমান্তজুড়ে নতুন করে বহু স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, শুধু যুদ্ধবিরতির পর এক মাসেই ইসরাইল অন্তত দেড় হাজার ভবন উড়িয়ে দিয়েছে।

পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণে কয়েকজন ফিলিস্তিনির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। এদিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজাকে ধীরে ধীরে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। দুই বছরের ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার ৮২ শতাংশ স্কুল ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর মধ্যেও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো স্কুলের মাঠ বা খোলা জায়গায় অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে শিশুদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শিক্ষাসামগ্রীর সংকট ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।

সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা—যুদ্ধের ধাক্কায় তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। শিক্ষকরা বলছেন, যুদ্ধোত্তর মানসিক চাপ কাটিয়ে শিশুদের আবার শিক্ষায় ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Facebook Feed ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর

সম্পর্কিত