হামাসের এজেন্ট অভিযোগ এনে গুলি করার হুমকি আর লোহার বিছানায় ঘুমাতে দিতো

লোকালয় ডিজিটাল রিপোর্ট
 ছবি: সংগ্রহীত
ছবি: সংগ্রহীত

ঢাকা, ২৯ আশ্বিন (১৪ অক্টোবর):  গাজা অভিমুখে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া নৌবহরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় অপহরণ, নির্যাতন ও বন্দী থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। শনিবার বিকেলে রাজধানীর দৃকগ্যালারি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।

শহিদুল আলম বলেন, “৫০ জনের বেশি ইসরায়েলি সেনা এসে আমাদের অপহরণ করে। তীরে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। আমাদের ওপর হামাসের এজেন্ট হওয়ার অভিযোগ এনে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। মরুভূমির একটি গোপন কারাগারে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছিল, যেখানে লোহার বিছানায় ঘুমাতে হতো।”

তিনি আরও বলেন, “সুমুদ ফ্লোটিলায় কোনো ইলেকট্রনিক বা সম্প্রচার মাধ্যমকে যেতে দেওয়া হয়নি। যুদ্ধাবস্থায় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের অবাধে প্রবেশের অধিকার থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী সেটি অগ্রাহ্য করেছে।”

এই আলোকচিত্রী জানান, সুমুদ ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা, শুধুমাত্র ত্রাণ দেওয়া নয়। ৭ অক্টোবর গাজায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা করা হলেও হামাস-সমর্থক আখ্যা পাওয়ার আশঙ্কায় তা পিছিয়ে ৮ অক্টোবর করা হয়। আগেই ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শহিদুল আলম। তিনি বলেন, “গাজা যুদ্ধের ক্ষেত্রে অধিকাংশ পশ্চিমা গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা রেখেছে, যা মানবিকতার পরিপন্থী।” পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধান উপদেষ্টার সাহসী অবস্থানের প্রশংসা করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Facebook Feed ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর

সম্পর্কিত