কুমিল্লায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে মদ ইয়াবা গাঁজা উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশ: 2022-12-05 11:46:05 | সারাদেশ

মাহফুজ বাবু;
ক্রামাগত বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত মাদকের আখড়ায় অভিযান চালাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যগণ। আর প্রতিনিয়ত ঝটিকা অভিযানে দিশেহারা জেলার মাদক কারবারিরা। র্যাব পুলিশ ডিবি'র পাশাপাশি জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসব অভিযানে ধরা পরছে সীমান্তবর্তী এই জেলার ছোট বড় মাদক কারবারি ও পাচারকারীরা। চৌধুরী ইমরুল হাসান জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কুমিল্লায় যোগাদানের পর থেকেই মাদক কারবারি পাচারকারী ও সেবনকারীদের কাছে ইতিমধ্যেই যেন মূর্তিমান আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছেন। প্রায় প্রতিদিনই জেলার সীমান্ত সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তার নির্দেশনায় নানান কৌশলে।
এরই ধারাবাহিকতায় ভারত সীমান্তবর্তী কুমিল্লার সদর দক্ষিণের রাজেশপুর ও চৌদ্দগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে মদ গাঁজা ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় চৌদ্দগ্রাম সীমান্তের একাধিক মাদক মামলা এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে আটক করলেও সদর দক্ষিণ রাজেশপুর এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি ১৬ মামলার পলাতক আসামী আবুল কাশেম অভিযান শুরুর আগেই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান, ৩ নভেম্বর শনিবার বিকেলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ মোহাম্মদ ওবায়দুল কবির এর নেতৃত্বে সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন (জগপুর) রাজেশপুর গ্রামের মন্তাজ মিয়ার বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় এলাকার মৃত চারু মিয়ার ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারি আবুল কাশেম (৪৩) এর বসত ঘর থেকে ২০ বোতল মদ ও ১১০পিস উদ্ধার করা হয়।
আবুল কাশেম বাড়িতে অনুপস্থিত থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই। অভিযানে উপপরিদর্শক মোঃ মুরাদ হোসেনসহ অন্যান্য বিভাগীয় সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আসামীর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোহাম্মদ ওবায়দুল কবির বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। রবিবার ৪ নভেম্বর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক ওবায়দুল কবিরের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে এক কেজি গাঁজাসহ জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী মোবারক মিয়া (৪১) এর ঘর থেকে এক কেজি গাঁজা। উপস্থিত না থাকায় আসামীকে আটক করা যায়নি। এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে নিয়মিত মামলা দয়ের করা হয়েছে। মাদকের আগ্রাসন রুখে দিতে এমন অভিযান ক্রমাগত চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান চৌধুরী ইমরুল হাসান।