দিনে-রাতে ১৮ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ বিহীন নাঙ্গলকোট! ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
আব্দুর রহিম বাবলু, নাঙ্গলকোট কুমিল্লা:-
নাঙ্গলকোটে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। প্রতিদিন অন্তত ১৮ ঘণ্টা এলাকাবাসীকে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। গত ৪/৫দিন থেকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের সাথে তীব্র তাপদাহে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দিনের শুরু থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়িতে মানুষজনকে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকাবাসীকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিং-এ নাঙ্গলকোট পৌরসদরসহ ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে। বিশেষ করে ফাস্টফুড দোকান, করাত কল, ধান, আটাসহ মসলা মিলগুলোতে ব্যবসায়ীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের অপেক্ষা থাকতে হয়। নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানপাটগুলোতে ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হচ্ছে বলে অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন। এছাড়া নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় পোল্ট্রি খামারগুলোতে অতিরিক্ত গরমে মুরগির বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অভিয়োগ উঠেছে।
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের সাব স্টেশনগুলোতে যান্ত্রিক ক্রটি, বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ কর্তনসহ ছোট-খাট অজুহাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং অন্যদিকে বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশেষ করে মে মাসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের অন্ত ছিল না। অধিকাংশ গ্রাহকের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে দ্বিগুণ বিল করা হয়েছে বলে অনেক গ্রাহক এ প্রতিবেদকের নিকট অভিযোগ করেন। গ্রাহকরা দলবেঁধে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪, নাঙ্গলকোট জোনাল অফিস কার্যালয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু তারা অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাননি বলে অনেক গ্রাহক এ প্রতিবেদককে জানান। উল্টো তাদেরকে মিটার পরিদর্শন এবং মিটার পরিবর্তন নিয়ে তাদেরকে আরো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪, নাঙ্গলকোট জোনাল অফিস এর আওতাধীন ১টি পৌরসভাসহ ১৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৯৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। নাঙ্গলকোটে বিদ্যুতের মোট চাহিদা রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট। চাহিদা বিপরীতে মাত্র ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢালুয়া ইউনিয়নের মগুয়া গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক জামাল উদ্দিন বলেন, ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়ির মানুষজন এবং ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে লোকসান গুণতে হচ্ছ।
উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক শফিকুর রহমান জানান, আমার প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল আসে প্রায় ২ হাজার টাকা। কিন্তু মে মাসে আমার বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করা হলে মিটার পরিবর্তনের নামে আমার থেকে আরো ২শ’ টাকা আদায় করা হয়েছে।
নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ ডিজিএম কামাল পাশা জানান, কয়লা সংকটের কারণে কয়েকটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্লান্ট বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। নাঙ্গলকোটে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি আগামী ২/১ দিনের মধ্যে লোডশেডিং কমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.
Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.