হোম | আন্তর্জাতিক
  • বিস্তারিত খবর

নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে জার্মানির উদ্দেশ্যে ২৪ ফিলিস্তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৭-০৪-২০২৫
নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে জার্মানির উদ্দেশ্যে ২৪ ফিলিস্তিনি

মাসের পর মাস গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় আটকে ছিলেন তারা। ঘরে ফেরার স্বপ্ন একসময় মনে হয়েছিল অসম্ভব। কিন্তু বুধবার এক নতুন ভোরের আলোয়, ২৪ জন জার্মান নাগরিক ও তাদের ফিলিস্তিনি আত্মীয়রা অবশেষে পাড়ি জমালেন ঘরের পথ ধরে।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ‘আজ ২৪ জন জার্মান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে গাজা ছাড়তে সক্ষম হয়েছে।’

এই দলে রয়েছেন ৯ জন জার্মান নাগরিক, বাকিরা তাঁদের নিকট আত্মীয় ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ইসরায়েল ও পশ্চিম তীর হয়ে দলটি জর্ডানে পৌঁছে, সেখান থেকে বিমানে উঠবেন জার্মানির পথে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান ওয়াগনার জানিয়েছেন, গাজায় এখনো ‘এক অঙ্কের সংখ্যায় অল্প কয়েকজন’ জার্মান আছেন, যারা নিজ দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সরকার তাদের বিষয়েও অবগত এবং পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

২০২৪ সালের মে মাসে মিশরের রাফা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এটাই ছিল জার্মান নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার তৃতীয় দফা অভিযান। এর আগেও একই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৭০০ জন জার্মান ও তাদের আত্মীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গাজা থেকে।









image

বস্টনের আদালতে হেলমেট-পরা যুবকের পিপার স্প্রে হামলা, আহত ৩











চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতেই জার্মানি গাজা থেকে ১৯ জন নাগরিক ও তাঁদের ১৪ জন আত্মীয়কে সরিয়ে নিয়েছে।

গাজায় রাফা সীমান্ত বন্ধ, যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়া, আর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় পরিস্থিতি দিনকে দিন ভয়াবহ হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়ে যাবে।’

অন্যদিকে ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি মাত্র দুই মাসের মাথায় ভেঙে পড়ার পর আবারও শুরু হয়েছে ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলা। এতে নতুন করে লাখ লাখ মানুষ গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

যেখানে কিছু পরিবার ঘরে ফেরার বিমানে উঠছে, অন্যদিকে সেখানে হাজারো পরিবার এখনো ধ্বংসস্তূপে, আতঙ্কে, অন্ধকার ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে।

জার্মান সরকারের এই উদ্ধার তৎপরতা একটি মানবিক পদক্ষেপ, কিন্তু গাজা উপত্যকার লক্ষাধিক মানুষ এখনো অপেক্ষা করছে—কোনো অলৌকিক শান্তির দিনের।


3 Comments:

  1. Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.

    1. Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.

    Lorem Ipsum has been the industry’s standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked